ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

লাকসাম-আখাউড়া ডাবল লাইন রেলপথের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী 

লাকসাম-আখাউড়া ডাবল লাইন রেলপথের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন বিএনপি শুধু ধ্বংস করতে জানে। উন্নয়ন করতে জানেনা। বিএনপি রেলওয়েকে ধ্বংস করে দিয়েছে। গোল্ডেন হ‍্যানসেকের নামে রেলওয়ের গতিপথ রুদ্ধ করে দিয়েছে।

আর বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে রেলওয়ের অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে। যার সুফল এখন জনগণ পাচ্ছে। ২০১৩ ও ২০১৪ সালে বিএনপি জামায়াত অগ্নিসংযোগ করে রেলওয়ের ব‍্যাপক ক্ষতি করেছে। বিএনপি যেখানে দেশের ক্ষতি করেছে আওয়ামী লীগ সেখানে উন্নয়ন করছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ‍্যমে আখাউড়া-লাকসাম সেকশনে নব নির্মিত ডাবল লাইন রেলপথে ট্রেন চলাচলের শুভ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকার সারা দেশে রেলওয়ের ব‍্যাপক উন্নয়ন করেছে।

দেশের জনসাধারণের যোগাযোগের কথা চিন্তা করে এক জেলার সঙ্গে অন‍্য জেলার রেল যোগাযোগ স্থাপন করছে বর্তমান সরকার।

রেল ছাড়াও দেশের যোগাযোগ ক্ষেত্রে এ সরকার অভূতপূর্ব উন্নয়ন করে যাচ্ছে।

লাকসাম রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ‍্যমে আখাউড়া-লাকসাম সেকশনে নব নির্মিত ৭২ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন রেলপথে ট্রেন চলাচলের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন এমপির সভাপতিত্বে গণভবন প্রান্ত থেকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি, এডিবি'র কান্ট্রি ডিরেক্টর মি. এডিমন গিনটিং, লাকসাম প্রান্ত থেকে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি। এসময় রেলপথ মন্ত্রণালয় সংসদীয় কমিটির সদস‍্য নাসিমুল ইসলাম এমপি, চাটখিল-সোনাইমুড়ি আসনের সংসদ সদস্য এইচএম ইব্রাহিম, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক শামীম আলম, রেলওয়ে মহা ব‍্যবস্থাপক মো. কমরুল আহসান, অতিরিক্ত মহা পরিচালক (অপারেশন) সর্দার শাহাদাত আলী, রেলওয়ে (পূর্ব) জেনারেল ম‍্যানেজার জাহাঙ্গীর হোসেন, চীফ অপারেটিং সুপারেন্ডেন্ট জাকির হোসেন, প্রকল্প পরিচালক সবুক্তিগীন উপস্থিত ছিলেন।

রেলওয়ের সুত্রে জানা যায়, দেশের প্রধান এ রেলরুটে দিনে ২৩টি ট্রেন চলত। ডাবল লাইনে উন্নীত হওয়ায় এখন ৭২টি ট্রেন চলতে পারবে। এখন থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে কোনো ট্রেনকে ক্রসিংয়ে পড়তে হবে না। কমে আসবে ট্রেনযাত্রার সময়। ৩২১ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রুটে যেতে আগে সাড়ে ৫ ঘণ্টা থেকে ৬ ঘণ্টা সময় লাগত। এখন এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় কম লাগবে। ট্রেনের গতিও বাড়বে ঘণ্টায় ১০ থেকে ২০ কিলোমিটার।

আখাউড়া-লাকসাম রেলপথকে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনে উন্নীত করার প্রকল্পটি ২০১৪ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) অনুমোদন দেয়। এরপর ঠিকাদার নিয়োগ হয় ২০১৬ সালের জুনে। তারপর প্রকল্পের মূল কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের নভেম্বরে এবং তা ২০২০ সালের জুনে শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে কাজ অনিয়মিত হয়ে পড়ায় প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। বর্ধিত এই সময়েও পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। পরে তা ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। সেটিও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এরপর প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।

মেয়াদ বাড়লেও প্রকল্প ব্যয় বাড়েনি। সংশোধিত ডিপিপিতে (আরডিপিপি) প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় ৬ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা। কিন্তু ব‍্যয় হয় ৫ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা। এতে খরচ কমেছে ৯২১ কোটি টাকা।

রেলপথ,উদ্বোধন,প্রধানমন্ত্রী
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত